ক্রমবর্ধমান অপরাধ প্রবণতার ঝুকিযুক্ত সমাজ বাস্তবতার মাঝেও ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ কথাটি নিয়ে হাস্যরস করার মানুষের অভাব নেই। অথচ, এই মানুষগুলো সবাই জানেন যে, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিপদ আপদে পুলিশ’ই ছুটে আসে মানুষের পাশে, মানুষকেও ছুটে যেতে হয় পুলিশের কাছে। তাইতো সারা বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী প্রশাসনিক ও সামাজিক শক্ত ভিত্তির উপর মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে পুলিশ ব্যবস্থা।
সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীও পিছিয়ে নেই কোন দিক থেকে। দেশের অভ্যান্তরীন শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বশান্তি রক্ষার্থেও বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহণ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এতসব ইতিবাচক অবদানের পরেও নানান অপপ্রচারের কারনে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে পুলিশ সম্পর্কে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এর কারনে ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ কথাটাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার বদলে হাস্যরসের মাধ্যমে অনেকেই অর্থহীন অবজ্ঞা করে।
বাংলাদেশ পুলিশ সম্পর্কে দেশের মানুষের মন থেকে সকল ধরণের ভ্রান্ত ধারণা দূর করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে ‘পুলিশনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম’ নামের একটি বিশেষ অনলাইন সংবাদ সংস্থা। যেখানে কেবলমাত্র দেশ বিদেশের পুলিশ বিষয়ক ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হতো । দীর্ঘ ১২ বছর এই ওয়েবসাইট পরিচালনার পর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে ‘পুলিশবন্ধু ডট কম’ নামে সংবাদ সংস্থা’র ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করা হয়।
এর পর, ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ইং থেকে ‘পুলিশবন্ধু ডট কম’ এর সকল প্রকার কার্যক্রম “নাগরিক সিন্ডিকেট” গবেষণা, পরামর্শ ও ব্যবস্থাপনায় ‘পুলিশবন্ধু ডট কম/www.policebondhu.com’ নামের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
সহজভাবে বলতে গেলে, পুলিশবন্ধু ডট কম এর সর্বকালীন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজের,পরিবারের ও দেশের জন্য ভালো কাজ করা এবং অন্যদেরকেও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করা।‘
পুলিশবন্ধু ডট কম এর সর্বকালীন এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন একটি চিরকালীন চলমান পক্রিয়া। এই চলমান প্রক্রিয়াকে চাঙ্গা রাখতে হলে নিম্নোক্ত কর্মকান্ডগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।
১। জাতীয় পুলিশ ও বিশ্ব পুলিশ ব্যবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের মনের সকল ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে নানামূখী কর্মকান্ড পরিচালনা করা।
২। পুলিশবন্ধু সুচিকিৎসা নেটওয়ার্ক গঠন ও পরিচালনা করা। এই প্রকল্পের অধীনে ‘পুলিশবন্ধু স্বাস্থ্য ও সুচিকিৎসা সভা পরিচালক’ এবং ‘পুলিশবন্ধু স্বাস্থ্য ও সুচিকিৎসা পরিবেশক’ নামের দুইটি পদে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত সেবাদাতা জনগোষ্ঠী তৈরি করা। যারা দেশের মানুষকে স্বাস্থ্যসচেতন ও সুচিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাদ্যোগী হয়ে সেবা দিবে।
এছাড়া, পুলিশবন্ধু সুচিকিৎসা নেটওয়ার্কের অধীনে ফার্মেসী, ডাক্তার, ডায়াগস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম, এ্যাম্বুলেন্স, ব্লাড ব্যাংক ও ব্লাড ডোনারদের তালিকা তৈরি করে তাদের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করবে পুলিশবন্ধু স্বাস্থ্য ও সুচিকিৎসা পরিচালক এবং পরিবেশকগণ।
৩। পুলিশবন্ধু গ্যালারী নেটওয়ার্ক গঠন ও পরিচালনা করা। এই প্রকল্পের অধীনে ‘পুলিশবন্ধু গ্যালারী পরিচালক’, ‘পুলিশবন্ধু গ্যালারী পরিবেশক’, ‘পুলিশবন্ধু গ্যালারী ব্যবস্থাপক’, ‘পুলিশবন্ধু গ্যালারী সেচ্ছাসেবক’ ও ‘পুলিশবন্ধু পার্সেল ডিলার’ নামের পদ্গুলির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত সেবাদাতা জনগোষ্ঠী তৈরি করা। যারা দেশের মানুষকে অতিভোগবাদি আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে সচেতন ভোক্তা হতে উৎসাহিত করবে। পুলিশবন্ধু গ্যালারী নেটওয়ার্কের অধীনে তিন ধরণের গ্যালারী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। (ক) পুলিশবন্ধু শপিং গ্যালারী, (খ) পুলিশবন্ধু রেন্ট গ্যালারী, এবং (গ) পুলিশবন্ধু চ্যারিটি গ্যালারী।
৪। পুলিশবন্ধু সাপোর্টিং নেটওয়ার্ক গঠন ও পরিচালনা করা। এই প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রতিটি থানা এলাকায় একটি করে ‘ক্যাফে পুলিশবন্ধু’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার মাধ্যমে ভোজন রসিক মানুষদের জন্য ‘স্বাস্থ্যকর সুস্বাদু’ খাবারের সরবারহ নিশ্চিত করা এবং ৬০০জনের অধিক উদ্যোক্তা ও কয়েক হাজার শিক্ষিত বেকারের কাজের ব্যবস্থা করা।
এছাড়া পুলিশবন্ধু সাপোর্টিং নেটওয়ার্কের অধীনে আরও কয়েকটি উপ-প্রকল্প, যেমনঃ পুলিশবন্ধু পাঠচক্র, পুলিশবন্ধু কর্মসংস্থান ক্লাব, পুলিশবন্ধু ম্যাট্রিমনি সোসাইটি, পুলিশবন্ধু প্রশংসা ও সম্মাননা সভা, পুলিশবন্ধু শান্তি – শৃঙ্খলা ও সালিশ –মীমাংসা সভা এবং পুলিশবন্ধু কমিউনিটি সেন্টার পরিচালনা করা।
৫। পুলিশবন্ধু পাবলিশিং নেটওয়ার্ক গঠন ও পরিচালনা করা। এই প্রকল্পের অধীনে পুলিশবন্ধু বইবিধাতা, পুলিশবন্ধু প্রি-অর্ডার পাবলিশার্স, পুলিশবন্ধু বুলেটিন, পুলিশবন্ধু অনুসন্ধান ও কেস স্টাডি, পুলিশবন্ধু সাক্ষাৎকার ও পুলিশবন্ধু সম্পাদকীয় নিয়মিতভাবে প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকা।