পুলিশবন্ধু, ক্রীড়াঙ্গন-বিনোদন ও বিশেষ প্রতিবেদন:
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ৫টি প্রিজন ভ্যান বাংলাদেশকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমানের হাতে এসব গাড়ীর প্রতীকী চাবি তুলে দেন মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হেলেন লাফাবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান বলেন, এসব গাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বন্দিসহ নারী বন্দিদের এক কারাগার থেকে হতে অন্য কারাগারে স্থানান্তর ও আদালতে প্রেরণকালে নিরাপত্তা অধিকতর জোরদার করা সম্ভব হবে। এজন্য আমি ইউএস সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, অতীতে কারাগারে মানে ছিল অন্ধকার জগত, যেখানে সব অপরাধী থাকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আমরা কারাগারকে বর্তমানে বলা হয় সংশোধনাগার। কারাগারের অবকাঠামোতে পরিবর্তন এসেছে, লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। এখন দরকার আমাদের সবার মন মানসিকতার পরিবর্তন। বন্দিদের প্রতি আমাদের ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হেলেন লাফাবে বলেন, এই উদ্যোগ সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা জোরদার করতে এবং বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এই বিশেষ যানবাহন সরবরাহের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদের বিচারের সময় একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করা, যার ফলে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন বজায় থাকে।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের কাউন্টার টেররিজম ব্যুরোর অর্থায়নে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের সহায়তায় বিশেষায়িত ৫টি বন্দি পরিবহণ যান হস্তান্তর করা হয়। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসব গাড়ি সিসিটিভির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। একসঙ্গে ৩৬ জন বন্দি পরিবহণ সম্ভব। গাড়ির অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করা হয়েছে।