পুলিশবন্ধু, অনুসন্ধান ও কেস স্ট্যাডি ডেক্স:
ফরিদপুর ভাঙ্গায় মেলা থেকে ৪ শিশুকে অপহরণের চেষ্টা করেছে একটি অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে ভাঙ্গার বাকপুরা বটতলা এলাকার একটি বাগান থেকে ৪ শিশুকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য পালিয়ে যায় এবং তাদের সহযোগী এক নারীকে ভাঙ্গা থেকে জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আটক নারীর নাম রাজিয়া বেগম। সে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কাশিমপুর এলাকার সামসু মাতুব্বরের স্ত্রী।
উদ্ধার হওয়া চার শিশুরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামের সেন্টু মাতুব্বরের পুত্র ইফাত (৯), সোহেল মাতুব্বরের কন্যা নুসরাত জাহান (৯), ফারুক মাতুব্বরের পুত্র মারুফ (১৩) ও পূর্ব সদরদী গ্রামের ইব্রাহিমের কন্যা রেশমি আক্তার (৮)।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আটরশি পীরের বাড়ি যায় চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামের বেশ কিছু ভক্তবৃন্দ। বুধবার দিবাগত রাতে পীরের বাড়ি খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। এই সুযোগে বুধবার দিবাগত রাত অনুমানিক চারটার দিকে চৌধুরীকান্দা ও পুর্বসদরদী গ্রামের ওই ৪ শিশুকে ঘুম থেকে উঠিয়ে ফুসলিয়ে অপহরণকারী চক্রের দুই যুবক নিয়ে যায়। ৪ শিশুকে বিছানায় না পেয়ে পরিবারের লোকজন সহ ভক্তবৃন্দরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ভাঙ্গা উপজেলার বাকপুরা বটগাছ এলাকার একটি বাগান থেকে ৪ শিশুকে উদ্ধার করে পরিবার। পরে উদ্ধার হওয়া ৪ শিশু ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পরিবারের কাছে জানায়। তাদের পাশে থাকা আটক নারী ভক্তবৃন্দকে খুঁজতে খুঁজতে ভাঙ্গা উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবি এলাকায় থেকে জনগণ তাকে আটক করে ধোলাই দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে ওই নারীকে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ ওই শিশু সহ তার পরিবারদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) প্রদ্যুৎ সরকার জানান, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে চৌধুরীকান্দা এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। জনতার হাতে আটক নারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ৪ শিশু ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত জেনে এবং তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।