পুলিশবন্ধু, অর্থ-বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডেক্স:
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষে কৃষকদের সঙ্গে প্রথম উঠান বৈঠক করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। এসময় পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন।
শনিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোনো জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম, অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেয়ার নির্দেশনাও দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরও বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না। কাজেই সেই লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আরও বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে। আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারও পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।
উঠান বৈঠকে মৌলভীবাজার জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, উপজেলা কৃষি অফিসারসহ অনেকে বক্তব্য দেন।