পুলিশবন্ধু অনুসন্ধান ও কেস স্টাডি ডেক্স:
সিলেট নগরীর সুবিদ বাজারে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের বাসা থেকে পুলিশ ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
রোববার দুপুরে দু’জনকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন। তিনি জানান, শনিবার রাতে ঢাকা ও ভৈরব এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হচ্ছেন- সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল হক (২৪) ও একই থানার নৈখাই মাঝপাড়া গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (২৫)।
এর আগে শুক্রবার নগরীর শিবগঞ্জ থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে আলবাব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মুন্না ছাড়া অন্য দুই জন সিকিউরেক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে সুবিদ বাজারের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। ৩০ অক্টোবর বুথে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার হিসেবে গড়মিল পাওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিসিটিভির ফুটেজ চেক করে। এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে বুথে মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক ও চোখে কালো চশমা পরা দুই যুবক প্রবেশ করেছেন। তাদের হাতে গ্লাভস পরা ছিল। একজন বুথের নিচের দিকের অংশ খোলেন ও অপরজন পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় এক নিরাপত্তা প্রহরীকে বুথের সামনে দেখা যায়।
বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে শুক্রবার এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড সিলেটের ইনচার্জ সন্দীপন দাস। মামলায় কোম্পানির এটিএম অফিসার অলবাব হোসেন ও কর্মকর্তা আমিনুল হককে আসামি করা হয়। ওইদিন পুলিশ আলবাবকে গ্রেপ্তার করে।
সর্বশেষ শনিবার রাতে আমিনুলকে ঢাকার মতিঝিল থানাধীন সাজেদা টাওয়ারের সিকিউরেক্স কোম্পানির অফিস থেকে ও মুন্নাকে ভৈরব থানার উজানভাটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন সমকালকে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বাসা থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে আলবাবের কাছ থেকে ১০ লাখ, মুন্নার কাছ থেকে সাত লাখ ৮৫ হাজার ও আমিনুলের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বাকি টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন। এছাড়া এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করেছে বলে জানিয়েছে।