পুলিশবন্ধু প্রশাসন ও রাজনীতি চক্র ডেক্স:
প্রয়াত সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তারের আসনে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার।
শনিবার মাইনুল হাসান তুষার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওনাদের (আওয়ামী লীগ) নির্দেশনা পেয়েই মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। আজকে (শনিবার) সকালে আওয়ামী লীগ অফিস থেকে ফোন করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে বলা হয়। এরপরই আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছি।
আসনটিতে (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১১ অক্টোবর, মনোনয়ন বাছাই ১২ অক্টোবর, প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভোট গ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করা উকিল আব্দুল সাত্তার বিএনপি করতেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও।
এ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন উকিল আব্দুস সাত্তার। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আইন, মৎস্য, ভূমি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরে সংসদ থেকে তিনিসহ বিএনপির সাতজন এমপি পদত্যাগ করেন। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন আব্দুস সাত্তার। সেই নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। এরপর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।