পুলিশবন্ধু, আলোচিত সংবাদ ডেক্স:
আব্দুস সালাম সরকার (৩৯) নামে এক ভুয়া পাইলস চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত অপারেশনের যাবতীয় মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার বিকাল ৫টায় সিংড়ার পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া এলাকার পলিপস এন্ড পাইলস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালাম সরকার গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে সে নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া মহল্লার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানায়, আব্দুস সালাম সরকার প্রায় দেড় যুগ আগে সিংড়া পৌর শহরের পেট্রোলবাংলা এলাকায় একটি কুড়ে ঘরে গোপনে পলিপস এন্ড পাইলস চিকিৎসা শুরু করেন। পরে ২০১৩ সালে চলনবিলের তাড়াশ-বরুহাস রাস্তার বালুয়া বাসুয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাতারাতি অভিজ্ঞ ডাক্তার বনে যান এবং ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে মাত্র দশ বছরেই পাশেই ৩০ লক্ষাধিক টাকার জায়গা কিনে রাতারাতি ৩ তলাবিশিষ্ট বাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে উঠেন। মানুষকে প্রতারণা ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। আর তার অপচিকিৎসায় বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ ও শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে বিছানা কাতর হয়ে ভুগছেন। এলাকারবাসীর এমন অভিযোগেরভিত্তিতে সিংড়ার বালুয়া বাসুয়া এলাকার পলিপস এন্ড পাইলস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সালাম নামে ওই ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম।
সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ অনুযায়ী কোন কাগজপত্র না থাকায় এবং কোন ডিগ্রি ছাড়াই সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে পাইলস অপারেশ করায় এই দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে আব্দুস সালাম সরকারকে ভুয়া চিকিৎসার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড দেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা খাঁন। এরপর জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি আবারও পাইলস অপারেশন শুরু করেন এবং মাঝে মধ্যেই অপচিকিৎসার জন্য পলাতক থাকেন।