পুলিশবন্ধু, আলোচিত সংবাদ ডেক্সঃ
রাজধানীর খিলক্ষেত ও বনানী থানা এলাকা হতে চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান, মোঃ হারুন-অর-রশিদ, মোঃ সোহেল, মোঃ এনামুল হক এবং মোঃ নূর ইসলাম। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ১৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
গতকাল (বুধবার) ০৯ নভেম্বর ২০২২ খ্রি: গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৮ টি মোবাইল ফোনসহ তাদের গ্রেফতার করে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর ২০২২ খ্রি.) দুপুরে ২:০০ ঘটিকায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় চুরি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পাওয়ায় গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ চুরি ও ছিনতাই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গত ০৯ নভেম্বর ২০২২ খ্রি: পল্টন থানার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ রাজধানী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে চোরাই মোবাইল কেনা-বেচার সময় চুরি ও ছিনতাই চক্রের সদস্য মোঃ হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান, মোঃ হারুন-অর-রশিদ ও মোঃ সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে অভিযান পরিচালনা করে অপর দুই সহযোগী মোঃ এনামুল হক ও মোঃ নূর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোঃ হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান ও মোঃ হারুন-অর-রশিদ বরিশালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সম্মেলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে যোগদান করে। অপর সহযোগী এনামুল হকসহ তারা বরিশাল হতে ঢাকায় আসে। রাজনীতির পাশাপাশি তারা হাত খরচের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করে মোবাইল-ম্যানিব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল চুরি ও ছিনতাই করে থাকে। গ্রেফতারকৃতরা পারষ্পরিক যোগসাজসে চুরি ও ছিনতাইসহ চোরাই মোবাইল স্বল্প দামে কিনে বেশি মূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রয় করে আসছে।
ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ২০১৫ সাল হতে ঢাকার রামপুরা, বাড্ডা, খিলক্ষেত, বনানী, মিরপুর, পল্লবী, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও গুলিস্থান হতে চুরি ও ছিনতাইকৃত মোবাইল সংগ্রহ করে কমদামি মোবাইলগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করে আসছে। দামি মোবাইলগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম বিক্রয়. কম, সেলবাজার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রয় করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি মামলা ও দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে মর্মে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
ডিএমপি‘র গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম রেজাউল হক এর তত্ত্বাবধানে ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
খবরঃ ডিএমপি নিউজ