পুলিশবন্ধু বুলেটিনঃ
বৈশ্ব্যিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় আজ(২২ ফেব্রুয়ারী) থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ। এক মাস বন্ধ থাকার পর খুলতে শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টিকাকার্ড নিয়ে আজ শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
প্রথম ধাপে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে আজ। যে শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ নিয়েছে, আপাতত তারাই ক্লাস করতে পারবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে ১ মার্চে।
সকালে রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের টিকাকার্ড হাতে নিয়ে লাইন ধরে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেতে দেখা যায়। টিকাকার্ড দেখার পাশাপাশি তাদের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয় প্রবেশের সময়।
স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরুর ক্ষেত্রে আগেই ২০ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে।
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় রেস্তোরাঁয় বসে খেতে কোনো শর্ত থাকছে না, উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশও বাধা থাকছে না।
২০২০ সালে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু হলে মার্চের শেষ দিকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়, যা দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলে। পরিস্থিতির উন্নতিতে পড়ে সেই বিধিনিষেধ শিথিল হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে; জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে এ বছরের শুরু থেকে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনা হয়। ১৩ জানুয়ারি ‘উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের জনসমাবেশ নিষেধ, রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণে টিকার সনদের বাধ্যবাধকতা, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ চলাচল এবং টিকা সনদ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের বাধ্যবাধকতাসহ ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে ২১ জানুয়ারি ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।