পুলিশবন্ধু, অর্থ-বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডেক্স:
আইন ভঙ্গ করে দেশের বাজারে বিদেশি সিগারেট আমদানি ও বিক্রয় না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর বলেছে, আমদানিকারক, উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, তারা যেন দেশের প্রচলিত আইন পরিপালন ব্যতীত বিদেশি সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ, বাজারজাত ও বিক্রয় না করেন।
এনবিআর আরও বলেছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে চোরাচালানকৃত বিদেশি সিগারেট পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাস্টমস আইন ১৯৬৯, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫ (১০) মোতাবেক সিগারেট আমদানির বিধান এ রকম ‘আমদানিযোগ্য সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে. তবে বন্ডেড ওয়্যারহাউস কর্তৃক সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এ ধরনের সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বাংলা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় মুদ্রণ করা যাবে।
অভিযোগ আছে, দেশের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপারশপ, শপিং মল ও সাধারণ মুদিদোকানে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ বিদেশি সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান না মেনে আনা এসব সিগারেট বাজারজাতকরণের ফলে আইন ভঙ্গের পাশাপাশি দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সরকার কাঙ্খিত রাজস্ব হারাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ছাড়া কাস্টমস আইনের ধারা-২ (এস) এ কোন ধরনের কার্যক্রম চোরাচালান হিসেবে বিবেচিত হবে, তার সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন ও আমদানি নীতি আদেশের উল্লেখিত বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বিদেশি সিগারেট আমদানি, উৎপাদন,সরবরাহ, বাজারজাত ও বিক্রয় করা চোরাচালান হিসেবে গণ্য হবে এবং তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসারে অনুযায়ী ব্যান্ডরোলবিহীন কিংবা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট কিংবা বিড়ি তৈরি, মজুত, সরবরাহ বিক্রয় ও ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ। এ বাস্তবতায় এনবিআর এই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।