পুলিশবন্ধু, শিক্ষাঙ্গন-শিক্ষার্থী ও আলোকায়ন ডেক্স:
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার (৮ জুলাই) সারাদেশে বাংলা ব্লকেড পালন করবেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট চলবে। রোববার (৭ জুলাই) রাত আটটার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধস্থলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত, বাংলামটর, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা রাজধানীর আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দাবি মেনে নেন। না হয় ১০০ শতাংশ কোটা দিয়ে দেন। ঘোষণা করে দেন– এটা কোটাধারীদের দেশ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ কারওয়ান বাজার পর্যন্ত গিয়েছি, কালকে ফার্মগেট পেরিয়ে যাবে আমাদের ব্লকেড। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করব। সারাদেশে সব স্থানে শিক্ষার্থীরা ব্লকেড করবেন।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে কথা বলছি। সংবিধানে সমতার কথা বলা আছে।’
কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের আদালত দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে আন্দোলন করছি।’
বিভিন্ন মোড়ে অবরোধের কারণে যানজটে এক রকম স্থবির হয়ে পড়ে পুরো ঢাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় নগর ভোগান্তি মাত্রা ছাড়ায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থাকতে দেখা গেছে অফিস ছুটির পর ঘরমুখো নগরবাসীকে। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন।
কোটা আন্দোলনের চার দফা দাবি থেকে সরে এসে এক দফা ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে। আমরা নাতিপুতি-পৌষ্য কোটাকে অযৌক্তিক কোটা মনে করছি। দাবি মেনে নিলে আজকেই আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।