পুলিশবন্ধু, অনুসন্ধান ও কেস স্ট্যাডি ডেক্স:
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯০ কোটি ৩২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের মামলায় সাংস্কৃতিক সংগঠক আবুল খায়ের লিটুর বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের সুপারিশ অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার স্ত্রী মহুয়া খায়েরের নামেও মামলা করেছে দুদক।
আবুল খায়ের লিটু বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের ভাতিজা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শরীফুল হক ডালিমের (মেজর ডালিম) ছোট বোন জামাই।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা, উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করলে বুধবার (১০ জুলাই) কমিশন সভায় তা অনুমোদন দেয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপরিচালক কামরুজ্জামান অভিযোগপত্র দেবেন।
অনুমোদিত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে ৯০ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার ‘প্রমাণ পেয়েছে’ দুদক। এছাড়া তদন্তে তার ১২ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের ‘প্রমাণ মিলেছে’। এর আগে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল লিটুর বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন।
এছাড়া আবুল খায়েরের স্ত্রী মহুয়া খায়েরের বিরুদ্ধেও গত ৯ এপ্রিল একটি মামলা করেছেন দুদকের উপপরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন। তার বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে আড়াই কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলার কথা জানান মোনায়েম হোসেন।
এজাহারে বলা হয়, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৪৮ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন মহুয়া। যাচাইয়ে তার নামে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ২২ হাজার ৮৩৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৭ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য তিনি গোপন করেন। আর পারিবারিক ব্যয় ৫৭ লাখ ২০ হাজার ২০৪ টাকাসহ মহুয়ার অর্জিত সম্পদের মূল্য ৭ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে মহুয়ার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৯ টাকা। এই হিসাবে, ২ কোটি ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন মহুয়া।