পুলিশবন্ধু, অনুসন্ধান ও কেস স্ট্যাডি ডেক্স:
রাজধানী ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের অনুসারী আমজাদ হোসেন সোহেল ওরফে চাক্কু সোহেলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার দিবাগত রাতে দস্যুতার চেষ্টাকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় চার রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি দস্যুতার চেষ্টা মামলা ও একটি অস্ত্র আইনের মামলা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আনার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং চাক্কু সোহেলের মোবাইলে একটি অস্ত্রের ছবি দেখতে পান। এই ছবিটিকে কেন্দ্র করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ।
আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু ছবিতে দেখা যাওয়া রিভলবার প্রথমে পাওয়া যায়নি। পরে চাক্কু সোহেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সে জানায় যে, উক্ত পিস্তলটি জনৈক মোহাম্মদ রহিমের নিকট রয়েছে; যিনি আন্ডার ওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবুল বাশার বাদশার একনিষ্ঠ সহযোগী। আবুল বাশার বাদশা বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সেক্রেটারি। রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে বাদশা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্ত্রের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই রহিম হচ্ছে বাদশার অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণকারী।
বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার বলেন, বাড্ডায় আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের আধিপত্য গুঁড়িয়ে দিতে যা যা করা লাগবে পুলিশ তাই করবে। বাড্ডা থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন অফিসারদের দিক-নির্দেশনায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া সঙ্গীয় এসআই শাহ আলম খলিফাসহ এএসআই মোহাম্মদ রুহুল আমিনসহ প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আন্ডার ওয়ার্ল্ডের কুখ্যাত সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপ, মেহেদী বা কলিন্স গ্রুপ, বহুল আলোচিত মিল্কি হত্যা মামলার আসামি চঞ্চল গ্রুপ, ডালিম রবিন গ্রুপসহ আন্ডার ওয়ার্ল্ডের বহু গ্রুপ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, অস্ত্র কেনাবেচাসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত। জিসান গ্রুপের অনুসারীসহ চারজন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য গ্রেফতার হওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, পূর্বের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এ রকম অনেক সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিরা পুলিশের ভয়ে বাড্ডা থানা এলাকার ছেড়ে পালিয়ে গেছে।