পুলিশবন্ধু, অনুসন্ধান ও কেস স্ট্যাডি ডেক্স:
পকেটমার, মোবাইল চোর এবং চোরাই মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনকারীসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার এবং ৭৯টি স্মার্টফোন ও ২৪টি বাটন ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের স্পেশাল টিম এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্লবী ও বাউনিয়া এবং দক্ষিণে যাত্রাবাড়ী, সাইনবোর্ড এবং চট্টগ্রাম রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কারো নামে ১৭টি, কারো নামে ১১টি, কারো নামে ৮টি/৯টি করে চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রমজান মাসে ফজরের নামাজ পড়ে অনেকেই ঘরের দরজা খুলে নিদ্রায় যায়। দারোয়ানরাও থাকে ঘুমে। এ সময় একটি চক্র নামাজীর বেশে খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে নগদ টাকা, মোবাইল চুরি করে। আবার অনেক যাত্রী গণপরিবহন এবং প্রাইভেটকারে যাতায়াতের সময় খোলা জালানার পাশে বসে অসতর্কভাবে মোবাইলে কথা বলতে থাকে বা ব্রাউজ করতে থাকে। এই সুযোগে ছিনতাইকারীরা মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন শপিং মল, বিপনি বিতানে পুরুষ ও মহিলা ক্রেতাদের পকেট থেকে ও ব্যাগ থেকে কৌশলে মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, উদ্ধারকৃত মোবাইলের মধ্যে আইফোনসহ নামিদামি ফোন এবং বাটন ফোনও আছে। চোর চক্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সামনে ফুটপাতে, স্টেডিয়াম মার্কেটের ফুটপাতে, গুলিস্তান আন্ডারপাসে দালালদের কাছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় দামি এই মোবাইল গুলোকে বিক্রি করে দেয়। দালালরা আবার মোতালেব প্লাজা, উত্তরার মাসকট প্লাজা, মিরপুরের শাহ আলী প্লাজা, চট্টগ্রাম রোডে একাধিক খুপড়ি দোকানে বিক্রি করে দেয় যারা সফটওয়্যার দিয়ে আইএমইআই পরিবর্তন করে অন্য রিটেইলার এবং হোলসেলারদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কখনো কখনো মোবাইলের ডিসপ্লে, ক্যামেরা, কেসিং, মাদারবোর্ড, ব্যাটারি ইত্যাদি আলাদা আলাদা করে খুচরা যন্ত্র হিসেবে চড়া দামে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে থাকে। আইএমইআই পরিবর্তন অথবা খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি করে দেয়া হয় বলে অধিকাংশ সময়ই চুরি হওয়া, হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে আর ভিকটিমকে ফেরত দেয়া সম্ভব হয় না।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা নেশার টাকার জন্য এবং সঙ্গদোষে এই কাজ করে থাকে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।