পুলিশবন্ধু প্রশাসন ও রাজনীতি চক্র ডেক্স:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি যাচাই করতে বাংলাদেশ আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। দেশটির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) যৌথভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রাক নির্বাচন সমীক্ষা মিশন পরিচালনা করবে। ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং তাদের সহায়তাকারীরা শনিবার বাংলাদেশে পৌঁছাবেন। ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তারা বাংলাদেশ সফর করবেন।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রেস অ্যাটাশে ও মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন এবং নারী ও তরুণদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবে। বাংলাদেশের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কথা বলবেন। সফর শেষ হলে প্রতিনিধিদলটি একটি বিবৃতিও দেবে। নির্বাচন আয়োজন বিষয়ে তাদের যদি কোনো উদ্বেগ থাকে তা জানাবে এবং বাস্তবসম্মত সুপারিশ থাকলে তা-ও উল্লেখ করবে।
ব্রায়ান শিলার বলেছিলেন, প্রতিনিধিদলটি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা করবে। প্রতিনিধিদলটির প্রাথমিক লক্ষ্য হবে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তথ্য তুলে ধরা। এর পাশাপাশি তারা নির্বাচনের দিন সীমিতসংখ্যক আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে মতামত দেবে।
এদিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইসিকে দেওয়া চিঠিতে ইইউ জানায়, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা হবে কিনা- তা এই মুহূর্তে যথেষ্ট স্পষ্ট নয়। এমন সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইইউ বর্তমানে এই নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকার ব্যাপারে অন্যান্য বিকল্প খতিয়ে দেখছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করতে তারা সব ধরনের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে।
এর আগে ইইউ প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের ঢাকা সফরের সময়ই বলেছিল, তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তার ওপর ভিত্তি করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইইউ পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়ে সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।