পুলিশবন্ধু, সুশাসন চক্র ডেক্স:
ছয় মন্ত্রী ও উপদেষ্টার পদত্যাগ গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, পদত্যাগপত্র কার্যকরের আগে তাদের অফিস করতে বাধা নেই।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টেকেনোক্র্যাটমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং চারজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র কার্যকর করার পদ্ধতি আছে, সেই প্রক্রিয়াটা আমরা শুরু করেছি। প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরে সেটা কার্যকর হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পুরোটাই অবৈতনিক। তিনি কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেন না।
একজন মন্ত্রী (ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার) অফিস করেছেন-দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যখন থেকে কার্যকর হবে, তখন আর অফিস করতে পারবেন না।
কবে তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধরা-বাধা কোনো আইন নেই যে, এত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রক্রিয়া আছে, অনুমোদন নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে গেজেট হবে, পদ যখন খালি হবে তখন শূন্যপদ।
মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়েছে, তাদের (পদত্যাগপত্র কার্যকর প্রক্রিয়া) এখান থেকে হচ্ছে। যাদের প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় গতবারের মতো এবারও মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।