পুলিশবন্ধু, আলোচিত সংবাদ ডেক্স:
সরকারের সকল হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে জনগণকে ‘সর্বজনিন ভোট বর্জনে’র ডাক দিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এই আহ্বান জানান। গুলশানে নিজের বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। যেখানে তার সঙ্গে ছিলেন দলের অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান।
মঈন খান বলেন, আমরা বলতে চাই, এই একদলীয় বাকশালী সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। তাই তাদের অন্যায় ও অবৈধ হুমকিকে পরোয়া করার আর কোনো কারণ নেই। সার্বজনিন ভোট বর্জনের মাধ্যমে চলমান আন্দোলনে জনগনের স্বতস্ফূর্ত সমর্থন ও অংশগ্রহন একদলীয় শাসনের কবল থেকে বাংলাদেশের মানুষ শিগগিরই মুক্তি পাবে এই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, আমরা আজকে গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি এই আহ্বান জানাব, আপনারা এই জনপ্রিতিনিধিত্ববিহীন বর্তমান যে সরকার সেই সরকারের কোনো হুমকি-ধামকি অথবা তাদের কোনো ভয়-ভীতিতে চিন্তিত হবেন না। আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে সেই সরকারের প্রদত্ত ভয়ভীতির মোকাবিলা করুন, যে বা যারা আপনাকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চায় তাদের চিহ্নিত করুন। ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, ভাতা কার্ড জব্দ করে কিংবা ভাতা বন্ধ করে দিয়ে কিংবা আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্যকরণ কোনো অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত হবেন বা হচ্ছেন ভবিষ্যতে তাদের আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট কারচুপি করতে সরকার ও সরকারির দলের বিভিন্ন নীল-নকশার পরিকল্পানা যেমন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা লাগামহীন জ্বাল ভোট প্রদানের পরিকল্পনা, ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো, মৃত ও প্রবাসী ব্যক্তির নামে ভুঁয়া ভোট প্রদান প্রভৃতি বিষয়গুলো তুলে ধরেন মঈন খান।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আজ আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করার হুমকি, ভাতা কার্ডধারী অসহায় মানুষের জীবনজীবিকাকে হুমকিতে ফেলা কিংবা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পোস্টাল ভোট অথবা অন্য কোনো ভুমিকায় তাদেরকে অবতীর্ণ করিয়ে নির্বাচনে প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এর প্রত্যেকটি আইনগত অপরাধ। বিশেষত যারা আমাদের দরিদ্র ট্যাক্সপেয়ারের যে অবদান সেই অবদান থেকে রাষ্ট্রীয় ভাতা ও বেতন পাচ্ছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র থেকে এই সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এটা দল ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোনো অনুদান নয়।অতএব ভাতা কার্ডের বিনিময়ে বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে ভোট দিতে বাধ্য করা সম্পূর্ণ বেআইনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার ভাবছে ৭ জানুয়ারি তাদের জয়লাভের দিন। আমি বলব, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকারের পরাজয়ের দিন। কারণ সেদিন তারা বাংলাদেশের নতুন করে অপমৃত্যু ঘটাবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এর আগেও ঘটেছে যে, আমাদের আন্দোলনকে বিপদগামী করার জন্য, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য সরকার নিজেই বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় আমাদের ওপর চাপানো চেষ্টা করেছে। এখনো সেই অপচেষ্টা চলছে।