পুলিশবন্ধু, অর্থ-বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডেক্স:
প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখ ও সাংগ্রাই উৎসব বান্দরবানে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হয়। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঈদুল ফিতর। তাই এই তিন উৎসবে পর্যটকে পূর্ণ থাকবে বান্দরবান এমনটাই আশা করেছিলেন জেলাপর পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা। তবে তাদের সেই আশার গুড়ে বালি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কেএেএফ। বিগত কয়েকদিনে কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতি ও তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সংঘাত ও অভিযানে এখন আতঙ্কের নাম বান্দরবান।
জানা গেছে,প্রতিবছরের মতোএবারও ঈদের ছুটি, পহেলা বৈশাখ ঘিরে কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই বুকিং হয়েছিল বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তাদের অনেকেই তাদের বুকিং বাতিল করছেন। এতে ভরা মৌসুমে আবারও লোকসানের দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মালিকেরা বলছেন, ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর ভ্রমণ বাতিল করছেন পর্যটকেরা। আগে থেকে করে রাখা বুকিং বাতিল হওয়ায় আশানুরুপ ব্যবসা হবে না এবার।
বান্দরবানে চলাচলকারী এক চান্দের গাড়িচালক বলছেন, ঈদ কিংবা অন্য ছুটিতে কিছুটা সময় পেলেই বান্দরবানে সমাগম বাড়ে পর্যটকদের। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে বান্দরবানের পরিস্থিতি। ফলে অনেকেই বুকিং বাতিল করে দিচ্ছে।
গত ১৫ মাস ধরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসান গুণতে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এবার ঈদে সেই ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠার আশা ছিল ব্যবসায়ীদের মধ্যে। হঠাৎ পাহাড়ে সহিংসতার কারণে আবারও লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।
এদিকে পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটনের বিকাশে সরকারি পদক্ষের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা চান, দ্রুত স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি।
বান্দরবানের হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, সমস্যা সমাধানে হামলাকারীদের সঙ্গে সরকার আলোচনা করে দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারলে, পর্যটন শিল্প ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।