পুলিশবন্ধু, ক্রীড়াঙ্গন-বিনোদন ও বিশেষ প্রতিবেদন ডেক্স:
প্রথম ১০ ওভারে ৭৯ রান দিয়েছিল বাংলাদেশ ২ উইকেট নিয়ে। ১২তম ওভারে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রান এবং পরের ওভারে শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ২১ রান আদায় করে শ্রীলঙ্কা। সফরকারীরা আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে ডেথ ওভারে। শেষ চার ওভারে বাংলাদেশ দেয় ১৫, ১৪, ১১ ও ২৪ রান! মোস্তাফিজ শেষ দুই ওভারে দেন ৩৮ রান। চার ওভারে ৪২ রান দিয়ে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরুচে বোলার। তার চেয়ে ৫ রান বেশি দেন শরিফুল।
এমনই নির্বিষ বোলিংয়ে বাংলাদেশের সামনে ২০৭ রানের কঠিন লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে। কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার হাফ সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২০৬ রান করেছে শ্রীলঙ্কা।
শক্ত জুটি ভেঙে দিলেন রিশাদ
পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জুটিতে উল্টো চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত কুশলকে ফেরাতে পেরেছে তারা। ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর শ্রীলঙ্কা ব্যাটার থেমেছেন ৫৯ রান করে। তৃতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়ে লঙ্কানরা। রিশাদ হোসেনের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে একেবারে সীমানার কাছে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন কুশল। ৬ চার ও ৩ ছয় মারেন তিনি। ১৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট নিলো বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লের পর সাফল্য নেই বাংলাদেশের
৩৭ রানে ২ উইকেট পেয়েছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কা দুই ব্যাটারের বিনিময়ে করেছিল ৪৫ রান। প্রথম ৬ ওভারে দুই দলই ছিল সমানে সমান। তবে পাওয়ার প্লের পর ১০ ওভারের খেলা শেষ হলেও বাংলাদেশ আর সাফল্যের দেখা পায়নি। কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা প্রতিরোধ গড়ে রান আদায় করছেন।
পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রান দিয়ে ২ উইকেট পেলো বাংলাদেশ
শুরুতেই চার হজম করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় বলেই উইকেট নেয় তারা। আভিষ্কা ফার্নান্ডোকে (৪) থামানোর পর কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস চাপ বাড়াচ্ছিলেন। পঞ্চম ওভারে তাদের জুটি ভেঙে দেন তাসকিন আহমেদ। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা করেছে ৪৫ রান।
তাসকিন ফেরালেন কামিন্দুকে
কামিন্দু মেন্ডিসকে ১৯ রানে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। মিডউইকেটে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। তার ১৪ বলের ইনিংসে ছিল একটি চার ও দুটি ছয়। পঞ্চম ওভারে ৩৭ রানে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় উইকেট পেলো বাংলাদেশ।
রিভিউ নষ্ট করলো বাংলাদেশ
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে কুশল মেন্ডিসের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয় বাংলাদেশ। রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের পক্ষে রায় আসেনি। বল আউটসাইড লেগে পিচ হওয়ায় রিভিউ নষ্ট হলো স্বাগতিকদের।
চার মেরে শুরু, পরের বলে আউট আভিষ্কা
শরিফুল ইসলামের প্রথম বলে চার মেরেছিলেন আভিষ্কা ফার্নান্ডো। পরের বলে ক্যাচ দিলেন লিটন দাসকে। ৪ রানে প্রথম উইকেট পেলো বাংলাদেশ।
টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে এটি নাজমুল হোসেন শান্তর প্রথম সিরিজ। সোমবার প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বোলিং নিয়েছেন তিনি। এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হচ্ছে জাকের আলীর।
শ্রীলঙ্কা তাদের নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সিলেটে নিয়ে এলেও প্রথম দুই ম্যাচে পাচ্ছে না। চারিথ আসালাঙ্কা তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: আভিষ্কা ফার্নান্ডো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, দাসুন শানাকা, মাহিশ ঠিকশানা, আকিলা ধনঞ্জয়া, বিনুরা ফার্নান্ডো, মাথিশা পাথিরানা।
চায়ের শহরে শুরু ডালাসের প্রস্তুতি
২০২৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ গত বছরটা শেষ করেছিল। বিপিএল শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দম ফেলার ফুসরত নেই। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে চলতি বছরে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচি। আগামী জুন-জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি ডালাসে অনুষ্ঠিত হবে ৮ জুন। সময়ের হিসেবে প্রায় ৩ মাস বাকি। তার আগে নিজেদের মাটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রস্তুতিটা একটু আগে ভাগে সেরে নেওয়ার সুযোগ।
অবশ্য কোচ ক্রিস সিলভারউড তার দল শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে রাখছেন। পরিসংখ্যান তার দাবির পক্ষে। এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ৪টি জিতেছে লাল-সবুজরা। দুই দলের সর্বশেষ লড়াই ২০২২ সালের এশিয়া কাপে। সেবার শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ২ উইকেটে। তবে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রেকর্ড ভালোই। সর্বশেষ তিনটি সিরিজই তারা জিতেছে।
বাংলাদেশ অবশ্য আরও একটি পরিসংখ্যানে এগিয়ে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে হিসেব করলে এখন পর্যন্ত খেলেছে ১৪ ম্যাচ, যার মধ্যে ১০টিতেই লাল-সবুজরা জিতেছে। তার মধ্যে ঘরের মাঠে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশের নজিরও আছে। শ্রীলঙ্কা এ সময় ১৩ ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পেয়েছে মাত্র ৫ ম্যাচে।