পুলিশবন্ধু, সংসদ-মন্ত্রীসভা ও সুশাসন ডেক্স:
ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের উত্তর আলীপুর খা-পাড়া মন্ডল বাড়ি ব্রীজ সংলগ্ন কুমার নদের পাড়ের ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে. আজাদের কর্মী ও সমর্থনকারী প্রায় ৩০টি বাড়িতে হুমকি প্রদান করেছে এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকেরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শামীম হকের সমর্থক ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনিরুল ইসলাম মনিরের পক্ষে হুমকি প্রদান করেন স্থানীয় বাদাম ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ ও গ্রীল মিস্ত্রি মো. রাজু।
এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কোতয়ালী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম।
হুমকির শিকার এ.কে. আজাদের কর্মী লায়লা বেগম বলেন, ১১ নং ওয়ার্ডের কুমার নদের পারে নদী ভাঙা ৩৫টি পরিবার এসে বাড়ি করে বসবাস করছেন। এখানকার অনেকে আজাদ ভাইয়ের কর্মী সমর্থক। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদাম ব্যবসায়ী ফিরোজ ও গ্রীল মিস্ত্রি রাজু আমার বাড়িতে ঢুকে আজাদ ভাইয়ের জন্য এলাকার কাজ করে এমন সব কর্মীর তালিকা করা সে কপি জোর করে নিয়ে গেছে। সেই তালিকা ধরে ফোন করে করে হুমকি দিচ্ছে। সে সকল কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হুমকি প্রদান করেছে যেন তারা আজাদ ভাইয়ের মিটিং মিছিল বা কোন কাজে না যায়, গেলে তাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি ফোনে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারী বাদাম ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ ও গ্রীল মিস্ত্রি মো. রাজুকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারাও নদী ভাঙেনের শিকার হয়ে ওই এলাকায় বসতি স্থাপন করে। তাদের মোবাইল নম্বরেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।