পুলিশবন্ধু, সংসদ-মন্ত্রীসভা ও সুশাসন ডেক্স:
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পারস্পারিক আস্থা সংরক্ষণ করে আন্তরিক না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হবে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে জেলার ছয় সংসদীয় আসনের প্রাথীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আস্বস্থ করা হয়েছে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হবে। প্রার্থীরাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করবেন। তারাও আশাবাদী এবারের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আবদুল বাতেনসহ অন্য কর্মকর্তারা ছিলেন।
ব্যালট পেপার মুদ্রণ শুরু, ২৫ ডিসেম্বরের পর জেলায় পাঠানো হবে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার মুদ্রণ শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরপরই ৩০০টি আসনের প্রার্থীর তালিকা আমরা পেয়ে গেছি। তিনটি সরকারি প্রেসে ব্যালট পেপার ছাপানো শুরু হয়েছে। যেগুলোতে মামলা রয়েছে, সেগুলো পরে ছাপানো হবে।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার ছাপানো শেষ হবে। সে আলোকে যে এলাকাগুলোয় কোনো মামলা নেই, সেগুলো আগে ছাপানো হবে। আর মামলা আছে, এমন আসনের ব্যালট শেষের দিকে ছাপানো হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ব্যালট পেপার ছাপানোর সুনির্দিষ্ট কোনো বাজেট নেই। তবে প্রাথমিক চাহিদায় ৩৩ কোটি টাকা কাগজ ক্রয়ের জন্য আগে দিয়েছি।
অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর ব্যালট জেলায় যাবে। যেগুলো আগে ছাপানো হবে সেগুলো আগে চলে যাবে। প্রথমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়, সেখান থেকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থাকবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানু্য়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এক হাজার ৮৯৪ জন প্রার্থী বৈধ হয়েছেন। আদালতের নির্দেশনায় এ সংখ্যা কমা-বাড়ার সুযোগ রয়েছে।