পুলিশবন্ধু, প্রতিষ্ঠান-পেশাজীবী ও আত্মউন্নয়ন ডেক্স:
গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা। এতে অংশ নিতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন প্রার্থী। আর মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন প্রার্থী। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। আর গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচনের আগে প্রথম ধাপে নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাটা যেন শেষ করতে পারি। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ নানা কারণে তা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষাটা নির্বাচনের আগে নেওয়ার আর সম্ভব নয়। এটা নির্বাচনের পরেই হবে। দ্রুত আমরা মৌখিক পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানাবো।
তিনি বলেন, আমাদের শূন্য পদের সংখ্যা যত, তা পূরণে যথেষ্ট প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা যোগ্য শিক্ষক বেছে নেবো।
এদিকে, কিছু প্রার্থী পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবি, অনিয়ম-জালিয়াতি এবং হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা নেয়ায় ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ নিয়ে তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিও করেছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক প্রার্থীর পক্ষে ফাতেমা আক্তার নামে একজন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেছেন। এ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে দুই মন্ত্রণালয়সহ ১৩ অধিদপ্তর-দপ্তরে নোটিশও পাঠিয়েছেন। তবে নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তারা এ নোটিশ পাননি।