পুলিশবন্ধু আলোচিত সংবাদ ডেক্স:
উইকেটে ঘাস নেই। ছিল ছোট ছোট ফাটল। সঙ্গে গরম আবহাওয়া। চেন্নাইয়ে উইকেট দেখে ক্রিকেটার থেকে টাইগার ভক্তদের মন চনমন করে উঠেছিল। স্পিনে ‘দুর্বল’ নিউজিল্যান্ডকে আটকে দেওয়ার স্বপ্ন এঁকে ছিল। কিন্তু লিটনদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ব্ল্যাক ক্যাপসদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের বিশাল হারে মুখ নিচু করে মাঠ ছেড়েছেন সাকিবরা।
শুক্রবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট উপহার দিয়ে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। ৪০ রানের জুটি দিয়ে তরুণ তানজিদ তামিম (১৬) ও তিনে নামা মেহেদী মিরাজ (৩০) ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা পরপর ফিরতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে ভরসা দেন সাকিব ও মুশফিকুর। তারা ৯৬ রানের জুটি গড়েন। সাকিব ফিরে যান তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৪১ রানের ইনিংস খেলায় ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা রচিন রবীন্দ্র ৯ রান করে ফিরে যান। এরপর ডেভন কনওয়ে এবং ইনজুরি কাটিয়ে ছয় মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৮০ রানের জুটি গড়েন। কনওয়ে ফিরে যান ৪৫ রানের ইনিংস খেলে।
পরে আর উইকেট হারায়নি নিউজিল্যান্ড। তবে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ১০৭ বলে ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান। আটটি চার ও একটি ছক্কা তোলেন তিনি। রান নেওয়ার সময় বাংলাদেশ ফিল্ডারদের থ্রো তার হাতে এসে লাগায় ঝুঁকি না নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
পরে ক্রিজে এসে ডার্লি মিশেল ৬৭ বলে ৮৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ছয়টি চারের সঙ্গে তার ব্যাট থেকে চারটি ছক্কার শট আসে। তার সঙ্গে গ্লেন ফিলিপস ১৬ রান করেন। নিউজিল্যান্ড ৪২.৫ ওভারে ম্যাচ শেষ করে টানা তিন ম্যাচেই দাপুটে জয় তুলে নিল। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠলো। অন্য দিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারের পর ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষেও বড় হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্নে বড় ধাক্কা লাগলো।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচে ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লকি ফার্গুসন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও হেনরি মিশেল। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ-শরিফুল কিছুটা ভালো বোলিং করেছেন। তবে দলের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। তাসকিন এই ম্যাচেও নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। স্পিন সহায়ক উইকেটে মেহেদী মিরাজ ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।