পুলিশবন্ধু, মৌলিক চাহিদা নেটওয়ার্ক ডেক্স:
ডিম এবং ডাল দুটিই পুষ্টিকর খাবার। এই দুই খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিনসহ একাধিক জরুরি উপাদান রয়েছে। এ কারণে সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় এই দুটি খাবার রাখতেই হবে।
এই দুই খাবারের মধ্যে কোনটিতে পুষ্টিগুণ বেশি তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষ করে, ডাল ও ডিমের প্রোটিন নিয়েই যত তর্ক। একদলের মতে, ডিমের প্রোটিন হল সর্বশ্রেষ্ঠ। আরেক দলের ভাষায়, ডিম ভালো হতে পারে, তবে ডালের প্রোটিনও কম নয়।
এখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন আসে, ডাল না ডিম, কোন খাবারের প্রোটিন বেশি উপকারী? এ ব্যাপারে পুষ্টিবিজ্ঞান মতে, ডিমের মতো সস্তায় পুষ্টিকর একটি খাবার খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। কারণ এতে রয়েছে অত্যন্ত উৎকষ্ট মানের প্রোটিন যা কিনা শরীর সহজেই গ্রহণ করে নেয়। শুধু তাই নয়, ডিম হল ভিটামিন বি ১২, ফোলেট, সেলেনিয়াম, জিঙ্কের মতো একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই শরীর ভালো রাখতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতেই হবে।
পুষ্টিবিজ্ঞান থেকে আরও জানা যায় যে,সব ধরনের ডাল পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে ভরপুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে। সেই সঙ্গে ডালে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন ও খনিজ। তাই নিয়মিত ডাল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
এখন প্রশ্ন দাড়াচ্ছে যে, ডাল অথবা ডিম, কোনটায় উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন রয়েছে?
পুষ্টিবিজ্ঞানের প্রাথমিক পাঠ থেকে জানা যাচ্ছে যে, ডাল ও ডিম- দুটিই তুলনামুলকভাবে সস্তার খাবার। আর দুই খাবারেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন। ১০০ গ্রাম মসুর ডাল থেকে প্রায় ২৬ গ্রাম এবং সমপরিমাণে মুগ ডাল থেকে প্রায় ২২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১০০ গ্রাম ডিম থেকে মোটামুটি ১৩ গ্রাম প্রোটিন মেলে। তাই প্রোটিনের পরিমাণের হিসাবে ডাল অনেকটাই এগিয়ে।
তবে উৎকৃষ্ট প্রোটিনের কথা বললে ডিমকে এগিয়ে রাখতে হবে। কারণ এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড যা কিনা ডালে অনুপস্থিত। আর এই কারণেই ডালের তুলনায় ডিমের প্রোটিনকে শরীর সহজেই গ্রহণ করে নিতে পারে। তাই ডিম ও ডালের মধ্যে ডিমকেই এগিয়ে রাখতে হবে।