পুলিশবন্ধু, অর্থ-বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী সংগঠন ডেক্স:
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণে ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ৫১৭.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা দেবে জাপান সরকার।
রোববার বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে এ লক্ষ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভাকক্ষে ওই চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি সই করেন। জাপান সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বিনিময় নোট এবং বাংলাদেশে অবস্থিত জাইকা অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা চুক্তিতে সই করেন।
ঋণচুক্তি সই শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জাপান সরকারের ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজের তৃতীয় ব্যাচের আওতাধীন ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের ঋণের জন্য বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
ঋণচুক্তিটির আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ৫১৭.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা দেবে। স্বাক্ষরিত ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণকাজের জন্য ১ দশমিক ৩০ শতাংশ, পরামর্শক সেবার জন্য শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, এককালীন শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণসহ বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বিমান পরিবহনের চাহিদা পূরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৯.০৬৩৩ কোটি টাকা (জিওবি ৫২৫৮.০৩৮৮ কোটি, জাইকা ১৬১৪১.০২৪৫ কোটি)। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুলাই ২০১৬ হতে জুন ২০২৫। নভেম্বর ২০২৩ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব ভৌত অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। এ প্রকল্পে জাইকা কর্তৃক পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এর আগে দু’টি পর্যায়ে মোট ১৫৬.৮২৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।