1. policebondhu@gmail.com : Jasemuddin Ruman : Jasemuddin Ruman
  2. jasemruman@gmail.com : policebondhu :
  3. propertypokkho@gmail.com : Jasem Ruman : Jasem Ruman
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি :
'পুলিশবন্ধু ডট কম' সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্কতার জন্য জানানো যাচ্ছে যে, 'পুলিশবন্ধু ডট কম' এর 'সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা' জনাব মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) এর ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট এবং বিকাশ/নগদ/রকেট/উপায় এর '০১৭১২ ৩৯২৫৭০(পার্সোনাল)' একাউন্ট ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে 'পুলিশবন্ধু ডট কম' এর পক্ষে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হয়না। অতএব, অন্যকোন মাধ্যমে 'পুলিশবন্ধু ডট কম' বিষয়ক আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সবাইকে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করা হচ্ছে। সতর্কতায়:- 'পুলিশবন্ধু ডট কম' কর্তৃপক্ষ।

কেন শিশুরা পুলিশকে এত ভয় পায় – জবাবে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩

পুলিশবন্ধু প্রশাসন ও রাজনীতি চক্র ডেক্স:
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘ছোটরা বলবে, বড়রা শুনবেন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। কমিশনার এ সময় শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

শিশুরা পুলিশকে এত ভয় পায় কেন- এই প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যারা শান্তিপ্রিয় মানুষ, অপরাধ করি না, অন্যায় করি না, তাদের জন্য পুলিশকে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। যেমন: আমাদের শিশুরা পুলিশকে ভয় পায় না। আমাদের দেশটার আগে নাম ছিল পাকিস্তান, তার আগে ভারত, তার আগে বৃটিশদের মধ্যে ছিল। সেসময় ব্রিটিশরা পুলিশকে ব্যবহার করে অন্যায্য কর আদায়ের জন্য ব্যবহার করত। সেই জায়গা থেকে মানুষের মাঝে পুলিশভীতি তৈরি হয়ে গেছে। যারা ভালো মানুষ তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই। একাত্তর সালের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যারা পুলিশে আছেন তারা তো আমাদের পুলিশ। আমাদেরই আত্মীয় স্বজন। তাই শিশুদের কখনোই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য পুলিশের ভাবনা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার জানান, বিভিন্ন এনজিও যারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে পুলিশ তাদের কাছে এসব শিশুদের পৌঁছে দেয়। এছাড়া, পুলিশের একটা ইউনিট আছে যারা হারিয়ে যাওয়া বা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে এবং পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কাজটা যতটা না আইন দিয়ে, তার চেয়ে বেশি মানবিকতা দিয়ে করার প্রত্যয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। দেশের সব থানায় শিশুদের জন্য আলাদা ডেস্ক আছে। যেখান শিশুরা সরাসরি তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে।

ছেলেধরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছেলেধরা বলে কেউ নেই। তবে পত্রপত্রিকায় কিছু ঘটনার সংবাদ আসে। এরকম কোনো ধরনের বিপদের আশঙ্কা পেলে শিশুদেরকে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।

পুলিশ বন্ধুরা রাগ করে কথা বলে কেন- এ প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, পুলিশও তোমাদের মতই মানুষ। পুলিশের কাজটি আসলে অনেক কঠিন। ট্রাফিক পুলিশের কথা বললে তারা রোদ বৃষ্টির মাঝেই কাজ করেন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সময়ও পায় না। তাই হয়ত তাদের কথাগুলো শুনতে কঠিন লাগে। আবার, থানাতেও পুলিশ সারা রাত জেগে থাকে। এ কারণেও হয়ত তাদের মেজাজ, মন মানসিকতা একটু কঠোর হয়ে যায়। মানসিক স্ট্রেসের জন্য হয়ত পুলিশ সুন্দর করে কথা বলতে পারে না। তবে স্বাভাবিক মানুষের মতই পুলিশের ভেতরেও ভালবাসা আছে সুন্দর মন আছে।

অতিদ্রুত ঢাকাবাসীর অভিযোগ শোনার জন্য ‘ম্যাসেজ টু কমিশনার’ নামে একটি হটলাইন সেবা চালু করা হবে যাতে যে কেউ কমিশনারের সাথে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ফেরদৌসী বেগম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। সভাপতিত্ব করেন শিশু প্রতিনিধি আফিফা রহমান। মূল বক্তা ছিলেন শিশু প্রতিনিধি নীহারিকা বিনতে জামান নিধি।

অনুগ্রহ করে এই সংবাদটি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও খবর

© একটি 'নাগরিক সিন্ডিকেট' প্রচেষ্টা এবং মোঃ জসীমউদদীন (রুমান) কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Site Customized By NewsTech.Com