পুলিশবন্ধু, শিক্ষাঙ্গন-শিক্ষার্থী ও কর্মসংস্থান ডেক্স:
আগামী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী বছর থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। এতে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জিএসটি গুচ্ছে দুটি এবং একটি কৃষি গুচ্ছ পদ্ধতির প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে। ইউজিসির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছর ১ আগস্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুমোদন দেয় ইউজিসি। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে কৃষি ও মৎস্য অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জিএসটি ভর্তি প্রক্রিয়ায় অর্ন্তভুক্ত করা হবে। এতে সুনামগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাশাপাশি পিরোজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে গণিত, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, নতুন অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলাদাভাবে কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া গুচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
বর্তমানে জিএসটি গুচ্ছ ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গঠিত। নতুন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর যুক্ত হলে এর সংখ্যা হবে ২৪টি। আর কৃষি গুচ্ছ সাজানো আছে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। কৃষি গুচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হলে এর মোট সংখ্যা হবে ৯টি।
বর্তমানে জিএসটি গুচ্ছে থাকা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১১টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বাকি ১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণ ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ)।
১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
কৃষি গুচ্ছে আছে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়, এগুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এ্যানিম্যাল সাইন্স ইউনিভার্সিটি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া ৩টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।