পুলিশবন্ধু, আলোচিত সংবাদ ডেক্স:
বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নাই। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোন বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিলো তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাঁড়িয়েছিল।
বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি জানতে চাই, আজকে দুপুরে পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছে, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেন্টারে যুদ্ধ করেছেন? ২৫ মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তারা কোন দিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।
বিএনপিকে দালাল বলে সম্বোধন করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা দালাল, এদের কারণে গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি। পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা আমরা পাইনি। পাকিস্তানি নাগরিকেরা বছরের পর বছর বুঝা হয়ে আছে। কথা দিয়ে তাদের নাগরিকদের ফেরত নেইনি। পাকিস্তান একাত্তরের গণহত্যার জন্য একটিবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। কোন সরকারও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। সে পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা স্বাধীনতার শত্রু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রান্না ঘরে যা যা ব্যবহার করে তার মধ্যে ভারতীয় পণ্য নয় কোনটা। রান্না ঘরে যান, শোয়ার ঘরে যান ভারতীয় পণ্য। এখন রিজভী রাজনীতি করার জন্য গা থেকে কাশ্মীরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়েছে। আরও কয়টা শাল তার ঘরে আছে কে জানে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জুটে না। ভারতীয় মশলা, ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নাই? খুঁজে দেখবো?
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।